কন্টেন্ট রাইটিং কি? কন্টেন্ট লেখার নিয়ম ও ইনকাম করার উপায়
কন্টেন্ট রাইটিং কি কন্টেন্ট লেখার নিয়ম ও ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন আজকের পোস্ট। অনলাইন থেকে ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ ও নিরাপদ উপায় হল কন্টেন্ট রাইটিং। বিশেষ করে একজন স্টুডেন্ট খুব সহজে কন্টেন্ট রাইটিং বা আর্টিকেল রাইটিং শুরু করতে পারেন।
কন্টেন্ট রাইটিং কি?
কন্টেন্ট রাইটিং হল কোন একটি বিষয়ের উপরে পূর্ণাঙ্গ ভাবে বর্ণনা করা। যাতে করে ঐ কন্টেন্টটি পড়ে পাঠকেরা উক্ত বিষয়ে সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে ধারণা লাভ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ আপনারা এখন যেই আর্টিকেলটি পড়ছেন এটিও একটি কন্টেন্ট। যেটি ‘কন্টেন্ট রাইটিং, কন্টেন্ট লিখার নিয়ম ও ইনকাম করার উপায়’ এর উপর তৈরি করা হয়েছে।
কন্টেন্ট লেখার নিয়ম
এ পর্যায়ে আমরা আলোচনা করব কন্টেন্ট লেখার নিয়ম সম্পর্কে। কিভাবে একটি কন্টেন্ট লিখবেন এবং একটি কন্টেন্ট লেখার জন্য কি কি নিয়ম মানতে হবে। কন্টেন্ট রাইটিং আপনি Microsoft Word, Google Notes, Google Docs, Blogger বা WordPress রাইটিং ট্যাব ইত্যাদের মধ্যে লেখা শুরু করতে পারেন। একটি কন্টেন্ট শুরু করতে হলে যেসব বিষয়ে নজর দিতে হবে তাহলো:
- কিওয়ার্ড নির্বাচণ
- টাইটেল তৈরি
- মূল কন্টেন্ট রাইটিং (H1,h2,h3)
- কন্টেন্ট এসইও
- ইমেজ কালেকশন
- র্নিভুল বানান
- সঠিক মেটা ডিসক্রিপশন ও
- Url/Link মেকিং
সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচণ
একটি কন্টেন্ট লেখার শুরুতে একটি সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে। কিওয়ার্ড হলো ওই ওয়ার্ড যেটিকে টার্গেট করে একটি আর্টিকেল লেখা হয়। কিওয়ার্ডকে ফোকাস ওয়ার্ড ও বলা হয়। একটি সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচণ করার জন্য আপনাকে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে। এই কাজে আপনি বিভিন্ন অনলাইন টুলস যেমম: herfs, google trends, ubrasagest বা chrome extention সহ বিভিন্ন টুলস এর ব্যবহার করতে পারেন। একটি কিওয়ার্ড নির্বাচণের পর প্রয়োজন একটি সঠিক টাইটেল তৈরি করা।
সঠিক টাইটেল তৈরি

এখন আপনাকে একটি টাইটেল তৈরি করতে হবে। যেটিতে আপনার ফোকাস্ কিওয়ার্ড শুরুতেই থাকবে। টাইটেলটি অবশ্যই ৬০ শব্দের মধ্যে হতে হবে। যাতে করে গুগল সম্পূর্ণ টাইটেল শো করাতে পারে। তাহলে কন্টেন্টি গুগলে দ্রুত রেংক করবে। এবং অবশ্যই টাইটেলটি অর্থবহুল হতে হবে। যেমন: ‘বিশ্বস্ত অনলাইন ইনকাম অ্যাপস ও ওয়েবসাইট ২০২৪ ’
আরো পড়ুনঃ Chat GPT কি? চ্যাট জিপিটি থেকে অর্থ উপার্জনের সহজ পদ্ধতি
কিন্তু আপনার টাইটেলটি যদি এমন হয় ‘ অ্যাপস ও ওয়েবসাইট বিকাশ পেমেন্ট অনলাইন ইনকাম’
তাহলে হবে না। কারণ এটি পড়ে টাইটেলটির সঠিক অর্থ বুঝা কষ্টসাধ্য। তাই এমন টাইটেল না লিখে সঠিক ও সুন্দর অর্থবহুল টাইটেল তৈরি করতে হবে। এছাড়াও টাইটেলটি যেনো ফোকাস কিওয়ার্ড দিয়ে শুরু হয় এবং সর্বোচ্চ ৬০ শব্দের মধ্যে ইউনিক টাইটেল হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ইউনিক টাইটেল বলতে এমন টাইটেলকে বুঝানো হয়। যেটি পূর্বে কোথাও ব্যবহার হয়নি।
মূল কন্টেন্ট রাইটিং
এখন আপনাকে মূল কন্টেন্টে সম্পূর্ণভাবে তৈরি করতে হবে। যেভাবে আর্টিকেলটি শুরু করবেন সেটি হল আর্টিকেলের শুরুতে একটি ভূমিকা লিখবেন যেটি অবশ্যই দেড়শ থেকে ২০০ ওয়ার্ডের মধ্যে হবে। এবং এই ভূমিকাতে আপনার সম্পূর্ণ টাইটেল সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত ধারণা তুলে ধরতে হবে। যেটিকে আপনি সারাংশ বা সারমর্ম বলতে পারেন।
তারপর আপনাকে এইচ ওয়ান (H1) অর্থাৎ হেডিং লিখতে হবে। একটি আর্টিকেলে H1 সুধু মাত্র একবার ব্যবহৃত হয়। তবে আপনি চাইলে একটি আর্টিকেলে একাদিক h2/h3 ব্যবহার করতে পারবেন। অথবা h2,h3,h4 এভাবে ক্রমান্বয়ে হেডিং গুলো ব্যবহার করতে পারবেন। তবে সাধারণত h6 এর মধ্যে অধিকাংশ কন্টেন্ট লেখা হয়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ ডোমেইন হোস্টিং কি? কেন প্রয়োজন এবং কিভাবে কাজ করে?
H1,h2,h3 এগুলো হলো আপনার সাব হেডিং গুলোর সাইজের প্রতিক বা চিহ্ন। যেটি আপনি Google docs বা অন্যান্য রাইটিং ট্যাবে দেখতে পাবেন। সাবহেডিং হলো হেডিং এর পরবর্তী ধাপ। অব্যশই হেডিং ও সাবহেডিং গুলোতে ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। তবে সাবহেডিং এর শুরুতে একই ওয়ার্ড বার বার ব্যবহার করা যাবে না। তাহলে যেভাবে লিখতে হবে তাহলো: (কন্টেন্ট রাইটিং কি? H1) (কিভাবে কন্টেন্ট রাইটিং শুরু করবেন h2)(কন্টেন্ট রাইটিং এর সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচণ h3) ইত্যাদি।
এছাড়াও আরেকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেটি হল প্রতিটা সাবহেডিং সর্বোচ্চ ৩০০ ওয়ার্ড এর মধ্যে হতে হবে। অর্থাৎ আপনি চাইলে ৩০০ ওয়ার্ডের কম সাবহেডিং ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু এর বেশি লিখলে আপনার এসইও প্রবলেম হবে। তাই চেষ্টা করুন সাবহেডিং গুলো ছোট ছোট পয়েন্ট করে লিখতে।
কন্টেন্ট এসইও
একটি কন্টেন্ট বা আর্টিকেল লেখার পর সেটি গুগলের প্রথম পৃষ্ঠায় নিয়ে আসার জন্য এসইও করতে হবে এসইওকে একটি কন্টেন্ট এর মেরুদন্ড বলা হয়। তাই একটি কন্টেন্ট তৈরি পর সেটি এসইও করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ
কন্টেন্ট থেকে ইনকাম করার উপায়

এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম কন্টেন্ট রাইটিং কি কিভাবে কন্টেন্ট রাইটিং করতে হয় এ পর্যায়ে আমরা জানবো কিভাবে কন্টেন্ট লেখার পরে সেগুলো থেকে ইনকাম করবেন। একজন রাইটার চাইলে অনেকভাবে তার কন্টেন্ট থেকে ইনকাম করতে পারেন। যেমন:
- নিজস্ব ব্লগ থেকে
- কন্টেন্ট বিক্রি করে
- অ্যাফিলিয়েটিং করে
- প্রমোশনাল কন্টেন্ট লিখে
- কন্টেন্টে ব্যাক লিংক যুক্ত করে
- রেফার করে বা ডিজিটাল মার্কেটিং করে
নিজেস্ব ব্লগ থেকে
আপনি যদি একজন কন্টেন্ট রাইটার হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস অথবা ব্লগার ব্যবহার করে একটি নিজস্ব ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করে। সেখানে আপনার কন্টেন্ট গুলো পাবলিশ করে সেগুলোতে গুগল এডসেন্স বা অন্যান্য থার্ড পার্টি এডস নেটওয়ার্ক যুক্ত করে ইনকাম করতে পারবেন।
কন্টেন্ট বিক্রি করে
আপনি যদি একজন এক্সপার্ট কন্টেন্ট রাইটার হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে অথবা বিভিন্ন বায়ার এর কাছে আপনার লেখা কন্টেন্টগুলো বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েটিং করে ইনকাম
আপনার যদি নিজস্ব একটি ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে থাকে। তাহলে আপনি সেখানে গুগল এডস বা থার্ড পার্টি এডস নেটওয়ার্ক এর সাথে অ্যাফিলিয়েটিং করেও ইনকাম করতে পারবেন। তবে অ্যাফিলিয়েটিং এর ক্ষেত্রে আপনার কনটেন্ট গুলো যদি ইংরেজি হয়। তাহলে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।



